শুক্রবার ১৩ই আশ্বিন ১৪৩০ Friday 29th September 2023

শুক্রবার ১৩ই আশ্বিন ১৪৩০

Friday 29th September 2023

প্রচ্ছদ প্রতিবেদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মেলা

২০২২-১০-২৬

আবু রায়হান খান

    

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মেলা। বরাদ্দ না বাড়লে সুফল মিলবে না।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটা স্থায়ী উদ্বেগের বিষয় এর গবেষণার দুর্দশা। একদিকে গবেষণার দিক দিয়ে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যলয়টি। আরেকদিকে যে গুরুত্বপূর্ণ গবষণাগুলো এখানে করা হয়, সেগুলো নিয়ে যথাযথ কোন প্রচারের অভাবে গবেষণা নিয়ে উৎসাহ কম দেখা যায়, তরুণ শিক্ষার্থীরাও গবেষক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার কথা ভাবেন না।

 

বিশ্ববিদ্যালযের এই নেতিবাচক ধারাবাহিকতায় একটা ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যতিক্রম দেখা গেলো সম্প্রতি… প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে ‘গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা’। ২২ ও ২৩ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হয়। আয়োজনে বিভিন্ন গবেষণার প্রদর্শণি দেখতে বিভিন্ন বিভাগের স্টলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুদৃশ্য ও দর্শনীয় কায়দায় তাদের গবেষণাগুলো প্রদর্শণ করেছেন। দৃষ্টি নন্দন এসব প্রদর্শনি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন আগত দর্শনার্থীরা।

 

এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে গবেষণার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তবে সত্যিকার অর্থেই গবেষণার গতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য নাকি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকদের মনে। ভবিষ্যতে গবেষণায় বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আয়োজকদের ভূমিকা দেখে এই আয়োজনের উদ্দেশ্য বোঝা যাবে বলে মনে করেন তারা। এদিকে মেলায় প্রদর্শিত রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবুল হোসাইনের গবেষণা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

 

শিক্ষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজের ধরণ ও মান উন্মোচিত হয়েছে। খোলা মাঠে এই ধরনের আয়োজন না করে কোন ছাদের নিচে আয়োজনসহ নিয়মিত এই ধরনের আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।

 

এছাড়া গবেষকরা সঠিক মর্যাদা পেলে, তাদের কাজ ঠিকমত প্রনোদনা পেলে, সেগুলো নিয়ে সমাজে আলোচনা হলে এবং সর্বোপরি প্রয়োজন অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা পেলে বাংলাদেশে অজস্র গবেষণা হওয়া সম্ভব। সম্ভব এই গবেষণাগুলোকে মাতৃভাষায় অনুবাদ করে এই জ্ঞানকে আরও ছড়িয়ে দেয়ারও ব্যবস্থা করা। রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উর্ধে উঠে গবেষক ও শিক্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করবে বিশ্ববিদ্যালয়, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

Your Comment