শুক্রবার ১৪ই আশ্বিন ১৪৩০ Friday 29th September 2023

শুক্রবার ১৪ই আশ্বিন ১৪৩০

Friday 29th September 2023

প্রচ্ছদ প্রতিবেদন

"বিজয়" বিতর্ক: প্রশ্ন উঠছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে মন্ত্রীর কিবোর্ড চাপিয়ে দেয়ার বৈধতা নিয়ে

২০২৩-০১-২১

আবু রায়হান খান

১৯৮৮ সালে ডিজিটাল ডিভাইসে বাংলা লেখার জন্য বিজয় কী-বোর্ড ও সফটওয়্যার প্রকাশ করেন জনাব মোস্তফা জব্বার। প্রায় ৩ যুগ পর বর্তমানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। দায়িত্বে থাকাকালীন এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পক্ষ থেকে দেশের সকল অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোনে বিজয় কী-বোর্ডের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

 

নতুন মোবাইল ফোনে কী বোর্ড সংযুক্ত না থাকলে অনাপত্তি-পত্র দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে সরকারের এই সংস্থাটি। মন্ত্রী হয়েও নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় বিষয়টি চোখে লাগার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। এই সিদ্ধান্তে প্রতিযোগিতার সাম্য থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।

 

একই সাথে তরুণ উদ্ভাবকরাও হবেন নিরুৎসাহিত। একই সাথে এই ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে কি-না সেটাও খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। চাপিয়ে দেয়া হলেও জনগণ ঠিকই নিজের পছন্দের পণ্য ব্যবহার করবেন বলে মনে করছেন বুয়েট অধ্যাপক আনিন্দ্য ইকবাল। সরকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগের ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে তথ্যগত নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ ফায়েজ তৈয়ব আহমেদ। তবে এই অভিযোগকে একেবারেই আমলে নিতে রাজি নন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

 

স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্নে সরকারের আইসিটি ডিভিশন থেকে বিজয় কী-বোর্ডকে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করা হয়েছে এবং তিনি শুধু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিনামূল্যে বিজয় কী বোর্ডের এপিকে ফাইলটি দেয়া হলেও সেখান থেকে ব্যবসার সুযোগ একেবারেই নেই এমনটি নয়। অ্যাপের বিজ্ঞাপন থেকেও অর্থ আয়ের সুযোগ থাকে। বাংলাদেশে প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে স্মার্টফোনের ব্যবহার ব্যপক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে বাজারে এসে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন; অনেক অ্যাপের বিরুদ্ধে রয়েছে তথ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে। কারণ বাংলাদেশে এখনও তথ্য গ্রহণ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন বা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়নি।

Your Comment